• Breaking News

    Monday, February 18, 2019

    রাউটিং প্রোটকল কি? রাউটিং প্রোটকল কত প্রকার ও কি কি এবং রাউটিং প্রোটকল সর্ম্পকে ধারণা লাভ।

    নেটওয়ার্ক রাউটার এবং রাউট কী? রাউটার হলো এমন একটি ডিভাইস যা লেয়ার ৩ এ কাজ করে এবং রাউটিং প্রোটকল ইউজ করে ডাটা পাকেটকে এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ট্রান্সমিট করে । আর নেটওয়ার্ক রাউট হলো এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা প্যাকেট পাঠানোর যে পথ সেটিই নেটওয়ার্ক রাউট।

     বেসিক রাউটার ব্লক ডায়াগ্রাম: 
    • র‌্যাম: র‌্যাম ব্যবহার করা হয় রাউটিং টেবিল এর তথ্য এবং রানিং কনফিগারেশন এর ফাইল জমা রাখার জন্য।
    • ফ্লাশ মেমরি: ফ্লাশ মেমরি ব্যবহার করা হয় অপারেটিং সিস্টেম জমা রাখার জন্য।
    • এনভির‌্যাম: এনভির‌্যাম ব্যবহার করা হয় স্টার্টআপ ফাইল জমা রাখার জন্য।
    • প্রসেসর: ডাটাসমুহকে প্রসেস করার জন্য প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।

    Routing Protocol: রাউটিং প্রোটকল হল কিছু নিয়মনীতির সমন্বয়। রাউটার এর মাধ্যমে যখন ডাটা এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্ক এ ডাটা ট্রান্সমিট হয় তখন কিছু নিয়ম বা রুলস মেনে ডাটাকে এক নেটওয়ার্ক থের্কে আর এক নেটওয়ার্ক এ ট্রান্সমিট হতে হয় । এই নিয়মনীতি সমুহকে বলাহয় রাউটিং প্রোটকল। রাউটিং প্রোটকল ‍সফটওয়্যার ও রাউটিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ডাটা ট্রান্সমিট এর জন্য অনুকুল পথ নির্ধারন ও পাকেট ট্রান্সমিট করে থাকে। আমরা যদি আরো সহজ ভাবে বলি । রাউটিংয়ের প্রোটোকল হল সেই প্রোটোকল যা রাউটার দ্বারা একে অপরের মধ্যে তাদের রাউটিং টেবিলের বিনিময়ে ব্যবহৃত হয়। এভাবে প্রত্যেকটি রাউটার তাদের রাউটিং টেবিল তাদের নেবার বা প্রতিবেশি রাউটারের কাছে শেয়ার করে । ফলে প্রতিটি রাউটারের কাছে তাদের রাউটিং টেবিলে প্রতিটি নেটওয়ার্ক এ যাওয়ার জন্য একটি বা একাধিক পথ সংরক্ষন করা থাকে। কয়েক ধরনের নেটওয়ার্ক প্রোটকল রয়েছে যেমনঃ- RIP, EIGRP, OSPF and BGP।

     রাউটিং প্রোটকল ফাংশন: রাউটিং প্রোটকল নিন্মলিখিত এই ফাংশন গুলি সম্পদন করে থাকে

    • রাউটার নেটওয়ার্কে উপস্থিত অন্যান্য প্রতিবেশী রাউটার থেকে আইপি সাবনেট সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে।
    • নেটওয়ার্কে প্রতিটি রাউটার আইপি সাবনেট সম্পর্কিত তথ্য অন্যান্য প্রতিবেশী রাউটারের রাউটিং তথ্য এডভ্যাটাইজ/শেয়ার করে। নেটওয়ার্কে কতটি সাবনেট আছে, প্রতিটি সাবনেটে যাওয়ার জন্য কি কি রুট আছে ইত্যাদি তথ্য এডভ্যাটাইজ করে ।
    • যদি রাউটার দেখে যে তার গ্রন্তব্য সাবনেটে পৌঁছানোর জন্য একাধিক রুট রয়েছে, তাহলে রাউটারটি মেট্রিক ক্যালকুলেশন এর উপর ভিত্তি করে সর্বোত্তম রুটটি বেছে নেয়। (মেট্রিকটি হতে পারে HOP COUNT, BANDWIDTH, COBINATION OF BANDWIDTH and DELAY) ।
    • যদি নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি পরিবর্তন ঘটে থাকে, যাকে বলে নেটওয়ার্ক কনভাজেন্স, উদাহরণস্বরূপ যদি একটি নতুন সাবনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হয় বা নেটওয়ার্কে বিদ্যমান একটি সাবনেট ডাউন হয়ে যায় তবে রাউটারগুলি অবিলম্বে পরিবর্তনের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাবে যেমন নতুন যোগ করা বা ডাউন হওয়া সাবনেট সম্পর্কিত তথ্য রাউটার সকল নেবার বা প্রতিবেশি রাউটারের কাছে এডভ্যাটাইজ করে ।

    INTERIOR And EXTERIOR Routing Protocol: রাউটিং প্রোটকলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
    • INTERIOR Gateway Routing Protocol (IGP)
    • EXTERIOR Gateway Routing Protocol (EGP)

    INTERIOR Gateway Routing Protocol (IGP): ইন্টেরিয়র গেটওয়ে রাউটিং প্রোটকল হল এমন একটি প্রোটকল যা একটি সিংগেল Autonomous System এর মধ্যে অবস্থান করে । Autonomous System বা সংক্ষেপে AS বলতে এমন একটি রাউটিং এরিয়া বা ডোমেইনকে বুঝায় যেখানে একাধিক রাউটার একই রাউটিং পলিসি বা মালিকানার অধীণে থাকে ।অনেক গুলি রাউটার বা গ্রুপ অফ রাউটার যারা  একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কন্টোল এর আন্ডারে থাকে তাকে বলে একটি সিঙ্গেল Autonomous System অথবা  এভাবে বলতে পারি যে একটি  গ্রুপ অফ রাউটার যখন তারা সবাই একই রাউটিং প্রোটকল ব্যবহার করে। সুতরাং একটি সিঙ্গেল অটোনামা সিস্টেম এর মধ্যে যে সকল রাউটিং প্রোটকল কাজ করে তাদেরকে বলা হয় IGP।  উদাহরণ সরুপ RIP, EIGRP, OSPF.

    EXTERIOR Gateway Routing Protocol (EGP): ভিন্ন ভিন্ন অটোনামা সিস্টেম এর মধ্যে যে সকল রাউটিং প্রোটকল রান করে তাদের বলা হয় EXTERIOR Gateway Routing Protocol বা EGP। অলাদা আলাদা দুই বা ততোধিক অটোনামা সিস্টেম এর মধ্যে ডাটা রাউটিং করার জন্য যে প্রোটকল সমুহ ইউজ করা হয় তাদের বলা হয় EGP বা EXTERIOR Gateway Routing Protocol ।
    সাধারণত তিন ধরনের রাউট হয়ে থাকে:
    • স্ট্যাটিক রাউট (Static Route)
    • ডাইনামিক রাউট (Dynamic Route)
    • ডিফল্ট রাউট (Default Route)

    স্ট্যাটিক রাউট (Static Route): স্টাটিক রাউট এর ক্ষেত্রে রাউটিং রুট ম্যানুয়ালি ডিফাইন করে দিতে হয়। কোন কারণে যদি এই রাউটিং এ যদি রাউট পরিবর্তন ঘটে তাহলে ম্যানুয়ালি তা আপডেট করতে হয়। ছোট নেটওয়াকের্র ক্ষেত্রে স্ট্যাটিক রাউট ব্যবহিত হয়ে থাকে।

    ডাইনামিক রাউট (Dynamic Route): ডাইনামিক রাউট হলো সে সব রাউট যা সময়ের সাথে সাথে আপনা আপনি রাউটিং টেবিলের পরিবর্তন ঘটে। ফলে ম্যানুয়ালি কিছু করার প্রয়োজন হয় না। যেকোন রাউট পরিবর্তন হলে সেটি অটোমেটিক্যালি রাউটিং টেবিল এ যোগ হয়। যেমন: RIP, EIGRP, OSPF

    ডিফল্ট রাউট (Default Route): কোন গন্তব্যের জন্য রাউট নির্ধারণ করে না দেয়া থাকলে রাউটার ডিফল্ট হিসেবে যে পথ বেছে নেবে সেটিই হলো ডিফল্ট রাউট।

     এছাড়াও আরো তিন ধরনের রাউটিং প্রোটকল রয়েছে, যথা-
    • ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল (Distance Vector Routing Protocol)
    • লিংক স্টেট রাউটিং প্রটোকল (Link state Routing Protocol)
    • ব্যালেন্সড হাইব্রিড প্রোটকল (Balanced Hybrid Protocol)

    ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল (Distance Vector Routing Protocol): Distance মানে হচ্ছে দূরত্ব এবং Vector  মানে হচ্ছে পথ। Distance Vector রাউটিং  এক নেটওয়ার্ক থেকে ডেস্টিনেশন নেটওয়ার্ক এর দুরত্ব কত  এর উপর ভিত্তি করে রুট নির্ধারন করে থাকে । সুতরাং Distance Vector রাউটিং প্রটোকল এমন একটি রাউটিং প্রোটকল যা  HOP Count এর ভিত্তিতে কাজ করে। একটি নেটওয়ার্ক থেকে আর একটি নেটওয়ার্ক এ পৌছানোর জন্য তাকে কতগুলি রাউটিার আতিক্রম করতে  হয় । এই প্রতিটি রাউটারকে বলা হয় একটি করে HOP । ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল যখন কোন রাউটারে রান করে সে যদি কোন ডেস্টিনেশনে ডাটা পাকেট পাঠায় তখন যে পথে সে সবচেয়ে কম HOP/Router পায় সেই পথে সে ডাটাপাকেট পাঠায়। উদাহরণ : RIP, IGRP.

    লিংক স্টেট রাউটিং প্রটোকল (Link state  Routing Protocol): লিংক স্টেট রাউটিং প্রটোকল রাউটিং প্রোটকল হল এমন একটি প্রেটিকল যা নেটওয়ার্ক এর লিংক এর Cost এর উপর ভিত্তি করে রাউটিং রুট নির্ধরন করে থাকে। Link State রাউটিং প্রটোকলসমূহ Shortest Path First (SPF) এ্যালগরিদমের মাধ্যমে রাউট ক্যালকুলেশন করে থাকে। এই SPF এ্যালগরিদমটি Edsger Dijkstra নামক একজন ব্যাক্তি লিখেছিলেন। এজন্য SPF কে Dijkstra’s Algorithm (ডাইজ্কস্ট্রা’স এ্যালগরিদম) ও বলা হয়। এই এ্যালগরিদমের মাধ্যমে একটি সোর্স নেটওয়ার্ক থেকে কোন একটি ডেস্টিনেশন নেটওয়ার্কে যাওয়ার সম্ভাব্য প্রতিটি পাথকে Cost সহ হিসেব করা হয়। এই কষ্ট নির্ধরণের একটি সূত্র আছে তা হল  Cost= । উদাহণ: OSPF।

    ব্যালেন্সড হাইব্রিড প্রোটকল (Balanced Hybrid Protocol): যে রাউটিং প্রোটকল ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রেটকল ও লিংক স্টেট রাউটিং প্রেটকল এর সমন্বেয়ে গঠিত তাকে বলা হয় ব্যালেন্সেড হাইব্রিড প্রোটকল বলা হয়। ব্যালেন্সেড হাইব্রিড প্রোটকলে ডিস্টেন্স ভেক্টর রাউটিং প্রেটকল ও লিংক স্টেট রাউটিং প্রেটকলের বৈশিষ্ট বিদ্যমান থাকে। উদাহরণ : EIGRP

    সিসকো মোড কনফিগারেশন পদ্ধতি: সিসকো রাউটার এ সাধারণত ৪টি মোড থাকে।
    • EXE mode
    • Privilege mode
    • Global configuration mode
    • Interface mode

    EXE mode: সিসকো রাউটার সমূহের ইউজার EXE মোড হলো স্বাভাবিক অপারেশন মোড। সিসকো ডিভাইস চালু হওয়ার পর আইওএস লোড হয় এবং EXE মোড এ আসে। EXE মোড এর সিম্বল হলো “>”.


    Privilege mode: সিসকো রাউটার সমূহের এডভান্সড অপারেশন মোড হলো Privilege mode। Privilege mode এর সিম্বল হলো “#” আমাদের EXE মোড হতে Privilege Mode এ আসার জন্য EXE Mode en টাইপ করতে হয়।


    Global Configuration mode: গ্লোবাল কনফিগারেশন মোড হলো সেই অপারেশন যেখানে কোনো কনফিগারেশন কমান্ড দেওয়া হলে তা পুরো ডিভাইসে কাজ করে। তবে গ্লোবাল কনফিগারেশন মোডে যেতে হলে EXE Mode থেকে প্রিভিলাইজড মোডে যেতে হবে এবং এর পর টাইপ করতে হবে configure terminal। তাহলে গ্লোবাল কনফিগারেশন মোডে যেতে পারবেন।


    Interface mode: সিসকো ডিভাইসের নির্দিষ্ট কোন ইন্টারফেইসকে কনফিগার করার জন্য Interface mode মোডে যেতে হয়। Interface mode যাওয়ার জন্য আমদের Global Config Mode এ যেতে হবে। এর পর টাইপ করতে হবে প্রথমে interface তারপর ইন্টারফেসের নাম যেমন FastEthernet, GigaEthernet, Serial etc। এরপর ইন্টারফেস নাম্বার যেমন 0/0, 0/1, 0/1/1.


    এতক্ষনে আমরা রাউটারের বিভিন্ন মোড নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার দেখি কিভাবে একটি রাউটারের কোন একটি ইন্টাফেস কনফিগার করতে হয় এবং  আইপি অ্যাড্রেস  ইমপ্লিমেন্ট করতে হয়। আমরা যখন কোন একটি নতুন রাউটার চালু করব তখন ডিফল্ট ভাবে তার প্রত্যেকটি ইন্টারফেস অফ থাকে । এই প্রতিটি ইন্টারফেসকে কনফিগার করে অন করতে হয় । চলুন দেখি কিভাবে একটি রাউটারের ইন্টারফেসকে কনফিগার করতে হয়। আমরা রাউটারের Global Configuration Mode এ যাই। Global Configuration Mode এ যাওয়ার পর আমরা যে ইন্টারফেসটিকে অন করতে চাই সেই ইন্টারফেটিকে সিলেক্ট করি । এবার আমরা যে কমান্ড লাইন এর মাধ্যমে এই ইন্টারফেসটিতে আইপি অ্যাড্রেস কনফিগার করব তা হল Router(config-if)#ip address 192.168.30.1 255.255.255.0 । এখানে Ip address কমান্ডএর পরে রয়েছে আইপি অ্ড্রেস এবং এর পরে রয়েছে সানেট মাক্স । এবার no shut ( Router(config-if)#no shut ) কমান্ড এর মাধ্যমে রাউটার এর ইন্টারফেসটিকে আপ করি।

    আমরা একটি Router 1 নামের একটি রাউটার নিলাম। যার দুটি ইথারনেট ইন্টারফেস Fa 0/0 ও Fa 0/1 রয়েছে । আমরা প্রথমে ইন্টাফেস Fa 0/1 কে কনফিগার করব । নিচে তার কমানসমুহ দেওয়া হল।
    Router>en
    Router#configure terminal
    Enter configuration commands, one per line. End with CNTL/Z.
    Router(config)#interface fastEthernet 0/0
    Router(config-if)#ip address 192.168.1.1 255.255.255.0
    Router(config-if)#no shut


    আমরা উপরের চিত্রটিতে লক্ষ করি, যখন কোন রাউটারের ইনটারফেস ডাউন থাকে তখন সেটা লাল হয়ে থাকে আর যেই ইনটারফেস আপ থাকে সেটা গ্রিন থাকে। আপনি যখন এভাবে কমান্ড লিখবেন তখন দেখবেন ঐ ই্ন্টাফেসটি গ্রিন হয়ে যাবে। একটি বিষয় বলে রাখি যে রাউটারের কোন ইন্টারফেসকে অন করার জন্য ঐ ইন্টফেসটিকে সিলেক্ট করে যাষ্ট no shut কমান্ডটি ব্যবহার করলে ঐ ইন্টাফেসটি অন হবে তার জন্য ইন্টারফেসে আইপি অ্যাড্রেস দেওয়ার প্রয়োজন পরে না । কিন্তু ডাটা প্যাকেট রাউটিং এর জন্য অবশ্যই আইপি অ্যাড্রেস এর প্রয়োজন। এবার আমরা ইন্টারফেস Fa 0/1 কনফিগার করব । নিচে তার কমান্ড লাইন দেওয়া হল ।

    Router>en
    Router#conf t
    Enter configuration commands, one per line. End with CNTL/Z.
    Router(config)#int
    Router(config)#interface fa
    Router(config)#interface fastEthernet 0/1
    Router(config-if)#ip add
    Router(config-if)#ip address 192.168.2.1 255.255.255.0

    Router(config-if)#no shut

    এবার যদি আমরা পিসিতে আইপি অ্যাড্রেস কনফিগার করি তাহলে সহজে এই দুটি কমপিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে । এভাবে রাউটারের ইনটারফেস সমুহকে কনফিগার করা হয় ।

    1 comment:

    Fashion

    Beauty

    Travel