OSI (Open System Interconnection): যা ISO ( International Standard Organization) কৃতক নির্ধারিত করা হয় । OSI Model মূলত একটি স্ট্যান্ডার্ডস । যার উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কিং ডিভাইস সমুহ তৈরি করা হয় । এটি তৈরির মূল কারণ হল, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর প্রথম দিকে যেসকল ছিল হার্ডওয়ার ওরিয়েন্টেড , এই সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার গুলি ছিল কোন না কোন কোম্পানি কৃতক তৈরি । এই সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার গুলি এমন ভাবে তৈরি কার হচ্ছিল যে এগুলি দিয়ে শুধু তাদের নিজেদের তৈরি ডিভাইস এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল । অন্য কোন কোম্পানির ডিভাইস এর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছিল না । এই সমস্য সমাধানের জন্য তৈরি করা হয় OSI Model । নেটওয়ার্কের কাজ বোঝার জন্য এই মডেল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এটি যদিও তাত্ত্বিক একটি বিষয়, তবু এর সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা দরকার। এই ধারণাই আপনাকে বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং ডিভাইসের কার্যপ্রণালী বুঝতে সাহায্য করবে। OSI মডেল নির্দেশ করে কীভাবে কম্পিউটার ও অন্যান্য নেটওয়ার্কিং ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে উঠবে । OSI Model এমন একটি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে , যা অনুসরণ করে নেটওয়ার্কিং ডিভাইস সমুহ তৈরি করা হয় । এর ফলে যে কোন কোম্পানির তৈরি কৃত ডিভাইস যে কোন কোন কোম্পানির তৈরি কৃত ডিভাইস এর সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয় ।
OSI Model সাধারণত সাতটি লেয়ার এর সমন্বয়ে গঠিত করা হয় । এগুলি হল যথা-
- ফিজিক্যাল (Physical Layer)
- ডাটালিঙ্ক (Datalink Layer)
- নেটওয়ার্ক (Network Layer)
- ট্রান্সপোর্ট(Transport Layer)
- সেশন (Session Layer)
- প্রেজেন্টেশন (Presentation Layer)
- অ্যাপ্লিকেশন (Application Layer)
এই লেয়ার সমুহকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয় । Upper Layer এবং Lawyer Layer । এপ্লিকেশন, প্রেজেন্টেশন এবং সেশন এই তিনটিকে বলা হয় Upper Layer এবং . ট্রান্সপোর্ট, নেটওয়ার্ক, ডাটালিঙ্ক এবং ফিজিক্যাল বলা হয় Lawyer Layer । Upper Layer সমুহ কাজ করে অ্যপ্লিকেশন রিলেটেড এবং Lawyer Layer সমুহ কাজ করে হার্ডওয়ার রিলেটেড । নিন্মে এই লেয়ার সমুহের বর্ণনা করা হল।
ফিজিক্যাল লেয়ার (Physical Layer): এটি OSI Model এর সর্বনিন্ম স্তর । এ স্তর এর প্রধান কাজ হল বিভিন্ন ডিভাইস এর সাথে ফিজিক্যল সর্ম্পক স্থাপন করা এবং ফিজিক্যল ডিভাইস এর মাধ্যমে ডাট এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস স্থানান্তর করে । এই লেয়ারে ডাটা সমুহ সধারণত বিট আকারে বিভিন্ন ফিজিক্যল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে স্থনান্তর হয় । ফিজিক্যাল মাধ্যম সমুহ হল
- ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল
- ফাইবার অপটিক ক্যাবল
- কোএক্সিয়াল ক্যাবল
- ওয়্যারলেস মিডিয়া
ডাটালিঙ্ক (Datalink Layer): ডাটা লিঙ্ক লেয়ার OSI মডেল এর দ্বিতীয় স্তর । এ স্তর ফিজিক্যাল লিঙ্ক এর মাধ্যমে প্রেরক ও গ্রাহক সিস্টেম এর মধ্যে ত্রুটি মুক্ত ভাবে ডাটা বা উপাত্ত স্থানান্তর এর কাজ করে থাকে । যেহেতু ফিজিক্যাল স্তর কোন প্রকার অর্থবোধক কাঠামো ছাড়াই উপাত্তকে বিট আকারে প্রেরক হতে গ্রাহক সিস্টেম এ স্থানান্তর করে । তাই ট্রান্সমিশন লাইনে চলমান অবস্থা এই সকল উপাত্তে যেকোন প্রকার ভুল ত্রুটি হতে পারে । ডাটালিঙ্ক স্তর এই কাঠামো বিহীন ডাটা বিট সমুহকে গ্রহন করে ত্রুটি মুক্ত ভাবে স্থানান্তর করে । ডাটা লিঙ্ক স্তর নিন্মলিখিত কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে ।
- নেটওয়ার্ক স্তরকে সুসংহত করা
- উপাত্ত বিটের ফ্রেমিং এবং সিক্রোনাইজেশন করা
- উপাত্তের ত্রুটি নিয়ন্ত্রন করা
- উপাত্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করা
- অ্যাড্রেসিং করা
- লিঙ্ক ব্যবস্থাপনা করা
নেটওয়ার্ক (Network Layer): এটি OSI Model এর তৃতীয় স্তর । এই স্তর নেটওয়ার্ক ভুক্ত প্রেরক ও গ্রাহক সিস্টেম এর মধ্যে লজিক্যালি সম্পর্ক গড়ে তোলে । এই স্তর প্রেরক প্রান্তে ট্রান্সপোট লেয়ার হতে প্রাপ্ত উপাত্তকে প্যাকেটে বিভক্ত করে এবং গ্রাহক প্রান্ত হতে প্রাপ্ত ডাটাকে উপাত্তে পরিণত করে । এই স্তর ডাটা রাউটিং এর কাজ করে । এই স্তর IP Address নিয়ে কাজ করে । একটি নেটওয়ার্কে একাধিক পাথ থাকতে পারে গ্রন্তব্যে ডাটা পৌছানোর জন্য , এই স্তর কি করে এই একাধিক স্তর হতে সবচেয়ে ভাল এবং কার্যকরি পাথটি নির্বচন করে ডাটা প্রবাহের জন্য । অর্থাৎ ডাটা প্রবাহের জন্য সঠিক রুট নির্ণয় করে এই স্তর ।
ট্রান্সপোর্ট(Transport Layer) : এটি OSI মডেল এর চতুর্থ লেয়ার । ট্রান্সপোট লেয়ার এর কাজ হল সঠিক ভাবে ডাটা পাকেট সরবরাহ করা । এছাড়া ডাটা প্যাকেটের সঠিক ক্রম , ডাটার উপস্থিতি , ডাটার ডু্প্লিকেট রোধ এই কাজ সমুহ এই লেয়ার করে থাকে। তাছাড়া কোন ডাটা যদি অনুমোদিত পাকেট এর চেয়ে বড় হয় , তাহলে সেই পাকেট কে ভেঙ্গে ছোট ছোট খন্ডতে বিভক্ত করা এর কাজ । এবং পুনারয় এই ডাটাকে আবার জোড়া দেওয়াও এর কাজ । ডাটাকে এই ভাঙ্গা এবং জোড়া দেওয়াকে বলা হয় ফ্রাগমেন্টেশন এবং ডি-ফ্রাগমেন্টেশন । এছাড়া ডাটা প্যাকেট প্রবাহের গতি নিয়ন্ত্রন করে থাকে এই স্তর ।
সেশন (Session Layer) : এটি OSI Model এর পঞ্চম স্তর । এই স্তর সাধারণত নেটওয়ার্কের ভিন্ন ভিন্ন হোস্ট সমুহের মাঝে কানেকশন সেটআপ এবং টারর্মিনেশন এর কাজ করে থাকে । এছাড়া ডায়ালগ কন্ট্রোল (dialogue control) এর কাজও এই লেয়ার করে থাকে । যখন কোনো ডিভাইস সংযোগ গড়তে চায় তখন সেশন লেয়ার জেনে নেয় কোন ডিভাইস এই কম্যুনিকেশনে অংশ নেবে এবং কী পরিমাণ ডাটা একসাথে পাঠাবে, কতক্ষণ পর পর পাঠাবে একে বলা হয় ডায়ালগ কন্ট্রোল ।
প্রেজেন্টেশন (Presentation Layer) : এটি OSI Model এর ষষ্ঠ স্তর ।প্রেজেন্টেশন লেয়ার মূলত ডাটার ফরমেট পরিবর্তন করে । অর্থাৎ ডাটা ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করে । নেটওয়ার্কে ডাটার ফরমেট পিসির ফরমেট থেকে আলাদা হতে পারে । নেটওয়ার্ক ও পিসির চাহিদা মোতাবেক ডাটা পরিবর্তন বা ট্রান্সলেটর এর কাজ এই লেয়ার করে থাকে । এছাড়া নেটওয়ার্কের ডাটা সমুহকে এনক্রিপশন ও ডিক্রিপশন এর কাজ ও এই লেয়ার করে থাকে ।
অ্যাপ্লিকেশন (Application Layer) : এটি OSI Model এর সর্বশেষ লেয়ার । এই লেয়ার কাজ নেটওয়ার্কে অনেকখানি দৃশ্যমান । এই স্তর সাধারণত ব্যবহারকারী ও নেটওয়ার্কের মধ্য একটি উইনডো হিসাবে কাজ করে । এর কাজ হল ব্যবহারকারীর অ্যাপ্লিকেশনকে সরাসরি সার্পোট করে এমন সব সার্ভিস প্রদান করা । যেমন:- ডাটাবেস অ্যাকসেস ও অনুমোদন, ই-মেইল, ফাইল ট্রান্সফার ইত্যাদি । এই স্তর সাধারণত যে সকল কাজ করে থাকে তা হল নিন্মরুপ-
- রিসোর্স শেয়ারিং ও ডিভাইস রিডিরেকশন
- রিমোট ফাইল অ্যাক্সেস
- রিমোট প্রিন্টার অ্যাক্সেস
- ইন্টারপ্রসেস কম্যুনিকেশন (IPC)
- রিমোট প্রসেজিউর কল (RPC) সাপোর্ট
- নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট
- ডিরেক্টরি সার্ভিসেস
- ইলেকট্রোনিক মেসেজিং
ভাই ফিজিক্যালও সর্বনিম্ন আর অ্যাপ্লিকেশনও সর্বনিম্ন এটা কি করে হয়? দয়া করে বুঝিয়ে বলুন।
ReplyDeleteফিসিক্যাল লেয়ার হলো সর্বনিম্ন এবং প্রথম লেয়ার আর এপ্লিকেশন লেয়ার হলো সর্বশেষ লেয়ার ।
Deletereally helpful . Thank you so much 🙂
ReplyDeleteNicely understood
ReplyDeleteGood
ReplyDeleteথ্যাংকস
ReplyDeleteThanks
ReplyDeletewow
ReplyDeletetnx
ReplyDelete