• Breaking News

    Monday, February 18, 2019

    EIGRP কি ? EIGRP সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

    আজকে আমরা রাউটিং প্রটোকল EIGRP সম্পর্কে আলোচনা করব। EIGRP এর পূর্ণরূপ হলো Enhanced Interior Gateway Routing Protocol যা IGRP অর্থাৎ Interior Gateway Routing Protocol এর উন্নত সংস্করণ। EIGRP হলো সিসকো’র একটি নিজস্ব প্রটোকল যা সিসকো ডিভাইস ছাড়া অন্য কোন ডিভাইসে রান করানো যায় না।

    EIGRP এর মধ্যে একই সাথে Distance Vector রাউটিং প্রটোকল এবং Link State রাউটিং প্রটোকলের কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান । Distance Vector রাউটিং প্রটোকল যা  কাজ করে HOP Count এর উপর ভিত্তি করে এবং Link State রাউটিং প্রোটকল যা কাজ করে link এর কষ্ট এর উপর । EIGRP এর মধ্যে একই সাথে Distance Vector রাউটিং প্রটোকল  এবং Link State রাউটিং প্রটোকলের কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় অনেকে একে হাইব্রিড প্রোটকল বলে থাকে। তবে সিসকো এটি মানতে নারাজ।

    আমরা OSPF এর ক্ষেত্রে দেখেছিলাম যে, OSPF তিনটি ধাপে কাজ করে। (১) Neighbor Relation (২) Database Exchange (৩) Route Calculation। ঠিক তেমনি EIGRP ও OSPF এর মত তিনটি ধাপে কাজ করে । আর তা হল
    • Neighbor Discovery
    • Topology Exchange
    • Route Calculation

    Neighbor Discovery: EIGRP Neighbor রিলেশনশিপ বিল্ডাপ করার জন্য একটি Hello Message জেনারেট করে। এবার প্রতিটি রাউটার এক অপরের সাথে নেবার হওয়ার জন্য কিছু স্ক্রাইটেরিয়া রয়েছে, সেগুলি যদি মিলে যায় তাহলে তারা এক অপরের সাথে নেবার হতে পারবে। এই স্ক্রাইটেরিয়া সমুহ হল ।
    • The routers must pass the authentication process.
    • The routers must use the same configured Autonomous System (AS) number.
    • The source IP address used by the neighbor Hello must be in the same subnet.

    আমরা OSPF এর ক্ষেত্রে দেখেছিলাম যে, প্রতিটি রাউটার একে অপরের সাথে নেবার হওয়ার জন্য কিছু কনডিশন ছিল এবং সেই কনডিশনগুলি মিলে গেলেই তারা একে অপরের সাথে নেবার হত । তাছাড়া তারা কখোন নেবার হতে পারত না । তেমনি EIGRP এর ক্ষেত্রেও কিছু কনডিশন আছে।

    কনডিশন নাম্বার ওয়ান: The routers must pass the authentication process, রাউটারের যে ইন্টারফেস সমুহ থাকে সেই ইন্টারফেস গুলিতে যদি পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে তাহলে দুদিকের পাসওয়ার্ড একই হতে হবে । নিচের চিত্রের দিকে খেয়াল করুন তোহলে সহজেই বিষয়টি বুঝতে পাবেন। এখানে দুটি রাউটার রয়েছে। আমরা যদি Router 0 এর ইন্টারফেস A পাসওয়ার্ড দেই এবং Router 1 এর ইন্টারফেস B তেও পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে। যদি এই দুটি রাউটার একে অপরের সাথে নেবার হতে চায় তাহল এই দুদিকের পাসওয়ার্ড একই হতে হবে। 
    কনডিশন নাম্বার দুই: The routers must use the same configured Autonomous System (AS) number. OSPF এ আমরা দেখেছিলাম প্রতিটি রাউটার এর একটি Area Number রয়েছে। ঠিক তেমনি, EIGRP এর ক্ষেত্রেও একটি AS Number রয়েছে। যাকে বলা হয় Autonomous System Number। যদি কোন রাউটার পরস্পর এর সাথে নেবার হতে চায় তাহলে তাদের Autonomous System Number একই হতে হবে। তা না হলে তারা পরস্পর এর সাথে নেবার হতে পারবে না ।

    কনডিশন নাম্বার তিন: The source IP address used by the neighbor Hello must be in the same subnet. রাউটারের কোন ইন্টারফেসে আইপি অ্যাড্রেস অ্যাসাইন করা হয় । তখন দুদিকেই একই সাবনেট ইউজ করতে হবে । অর্থাৎ দুদিকের রাউটারে একই নেটওয়ার্ক থাকতে হবে। আমরা যদি অপরের চিত্রের দিখে লক্ষ করি তহলে Router 0 & Router 1 এর A & B ইন্টারফেসে একই সাবনেট রান করাতে হবে । যদি একই সাবনেট না রান করায়ে আলাাদ আলাদা সাবনেট রান করানো হয় তাহলে তারা নেবার হবে না । যদি এই তিনটি কনডিশন প্রতিটি রাউটার পাশ করতে পারে তাহলে তারা এক অপরের সাথে নেবার হবে । তাছাড়া তারা কখোন নেবার হতে পারবে না ।

    Topology Exchange: প্রতিটি রাউটার যখন একে অপরের সাথে নেবার হয়ে যাবে, তখন তারা একে অপরের সাথে তাদের Network Topology গুলি  অ্যাডভাটাইজ করবে। এখানে একটি কথা বলা দরকার যে EIGRP তে একবার Topology Exchange হয়ে গেলে তার পর Full Topology অ্যাডভাটাইজ করে না। শুধুমাত্র যে অংশটির পরিবর্তন হবে সেই আপডেট টুকুই পাঠাবে। আমরা রিপ এর ক্ষেত্রে দেখেছিলাম যে, রিপ প্রতিট 30 সেকেন্ডে পর পর ফুল আপডেট পাঠায় । কিন্তু EIGRP এর ক্ষেত্রে তা হবে না । প্রথমে প্রতিটি রাউটার ফুল আপডেট পাঠাবে কিন্তু যখন প্রতিটি রাউটারের কাছে সমস্থ টপোলজি চলে যাবে, তখন আর কেউ ফুল আপডেট পাঠাবে না । যদি কোন কারণে নেটওয়ার্ক এর কোন চেঞ্জ আসে তাহলে শুধুমাত্র সেই চেঞ্জেজ অংশটুকুর আপডেট পাঠাবে।

    Route Calculation: প্রতিটি রাউটার এর সাথে Neighbor & Topology Exchange সম্পূর্ণ হয়ে গেল, এবার রুট কালকুলেশ এর কাজটি হয়ে থাকে এবং এই কাজটি রাউটার নিজেই করে থাকে। কিভাবে রুট কালকুলেশন করে থাকে আমরা পরে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ্।

    EIGRP Massage: EIGRP এর ক্ষেত্রে কি কি Massage রায়েছে তার সম্পর্কে আমরা এবার আলোচনা করব । EIGRP এর ক্ষেত্রে ৫ ধরনের মেছেজ হয়ে থাকে, যথা:-
    1. Hello
    2. Update
    3. Query
    4. Reply
    5. Acknowledgement
    EIGRP এর ক্ষেত্রে এই ৫ ধরণের মেছেজ রয়েছে । যার মধ্যে Update, Query & Reply এই তিনটি  মেছেজ RTP Protocol এর অধিনে হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হল RTP Protocol কি?

    RTP: RTP হল Reliable Transport Protocol। EIGRP হলো একটি Network Layer Independent রাউটিং প্রটোকল। এটা IP, IPX ও AppleTalk সবক্ষেত্রেই কাজ করে। যেহেতু IPX ও AppleTalk এ TCP/IP প্রটোকল সুইট ব্যবহৃত হয় না তাই EIGRP রাউটারসমূহ নিজেদের মধ্যে EIGRP প্যাকেট আদান প্রদানের জন্য Reliable Transport Protocol (RTP) ব্যবহার করে থাকে। এই প্রোটকলটি IP, IPX ও AppleTalk, TCP/IP সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। RTP Protocol এর মধ্যে যে সকল প্যাকেটসমূহ থাকে তা হলঃ Hello, Update, Reply, Query ও Acknowledge Packet ।

    RTP এর “Reliable” শব্দটি কেবলই এর নামের একটি অংশ। কেননা RTP এর মাধ্যমে “Reliable” ও “Unreliable” দুই ভাবেই EIGRP প্যাকেটসমূহ লেনদেন হয়ে থাকে। Reliable RTP এর ক্ষেত্রে প্রেরক রাউটার যখন কোন EIGRP প্যাকেট পাঠায় গ্রাহক রাউটার তখন তার Acknowledgement দেয়। অন্য দিকে Unreliable RTP এর ক্ষেত্রে প্রেরক রাউটার যখন কোন EIGRP প্যাকেট পাঠায় গ্রাহক রাউটার তখন তার কোন Acknowledgement দেয় না।

    Hello: EIGRP নেবার ডিসকভার করার জন্য Hello Message পাঠায়। এই Hello Packet টি হলো একটি Multicast প্যাকেট যা মাল্টিকাস্ট রিসার্ভ আই.পি 224.0.0.10 ব্যবহার করে থাকে। Hello Packet হলো একটি Unreliable RTP প্যাকেট। বেশিরভাগ নেটওয়ার্কে এই Hello Packet প্রতি পাঁচ (৫) সেকেন্ড পর পর প্রেরিত হয়, কিন্তু NBMA (X.25, Frame Relay, ATM) নেটওয়ার্কে প্রতি ষাট (৬০) সেকেন্ড পর পর প্রেরিত হয়।

    Update: যদি কোন কারণে আমাদের নেটওয়ার্ক এর কোন পরিবর্তন আসে তাহলে সাথে সাথে রাউটার একটি আপডেট মেছেজ সকলের কাছে পাঠায়ে দেয়। এই আপডেট মেছেজটি হল একটি Reliable RTP পাকেট। যে সকল রাউটারের কাছে এই আপডেট মেছেজটি যাবে সে সকল রাউটার তার কাছে একটি Acknowledgement পাঠাবে ।

    Query: তখনই Query Packet পাঠায় যখন R1 এর কোন স্পেসিফিক রাউটের দরকার হয়। এক্ষেত্রে R2 রাউটার একটি Acknowledgement দেয়। যে রাউটার Query জেনারেট করে এবং এই Query যার যার কাছে যায় সেই সকল রাউটার তার কাছে একটি Reply পাঠাবে । কোন রাউটারের যখন কোন স্পেসিফিক রাউটের দরকার হয় তখন সেই রাউটার অন্য রাউটারের কাছে Query Packet পাঠায় ।            

    Reply: যখন কোন রাউটারের কাছ কোন Update বা Query পাকেট আসে তখন সে ঐ সকল রাউটারের কাছে একটি Reply মেছেজ পাঠায় । এই Reply Message টি RTP Protocol এর অধিনে হয়ে থাকে।

    Acknowledgement: যখন কোন রাউটার এর কাছে কোন Reply Message আসে তখন সে যার কাছে থেকে Reply আসতেছে তার কাছে একটি Acknowledgement পাঠায় । এই Acknowledgement Packet টি Unreliable RTP Protocol এর অধিনে হয়ে থাকে।

    EIGRP Metric Calculation:   Metric হলো এমন একটি ভ্যালু বা মান যা দ্বারা কোন একটি রাউটার বা সাবনেটের দূরত্ব প্রকাশ করে । এই ভ্যালু যত কম হবে সাবনেটের দুরত্বও তত কম হবে এবং ভ্যালু যত বেশি হবে দূরত্বটাও তত বেশি ।EIGRP Metric Calculation এর মাধ্যমে বেষ্ট রুট সিলেক্ট করে থাকে।

    EIGRP তার Best পাথ নির্ধারণের জন্য যে Composit Metric ক্যালকুলেট করে, তার জন্য কয়েকটি মান ব্যবহৃত হয়। এগুলো হলঃ
    1. Bandwidth
    2. Load
    3. Delay
    4. Reliability
    5. MTU

    বাই ডিফল্ট Metric ক্যালকুলেশ করার সময় সধারণত Bandwidth ও Delay এই দুটি মান ব্যবহৃত করে থাকে। কিন্তু একজন এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর চাইলে অন্যান্য যে সকল মান রয়েছে সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।

    Bandwidth: Bandwidth বলতে এখানে লিংক এর মোট ক্যাপাসিটি বুঝায় না। এটি শুধুমাত্র Metric ক্যালকুলেশনের জন্য ব্যবহৃত একটি স্ট্যাটিক ভ্যালু যা Kbps আকারে থাকে। প্রয়োজন মাফিক রাউটারের ইন্টারফেস কমান্ডের মাধ্যমে এই ভ্যালুটি পরিবর্তন করা যায়।

    Load: Load বলতে কোন একটি লিংক এ কি পরিমান ট্রাফিক চলাচল করছে তা বুঝায়। Load হলো একটি ডায়নামিক ভ্যালু যা 0 থেকে শুরু করে 255 পর্যন্ত হয়ে থাকে। Load ক্যালকুলেশনের সময় ডায়নামিকভাবে পাওয়া এই ভ্যালুটিকে 255 দ্বারা ভাগ করা হয়। সুতরাং Load = n/255 (এখানে, n এর মান 0 থেকে শুরু করে 255 পর্যন্ত যেকোন একটি সংখ্যা)। n এর মান যত কম হবে লিংক এর Load তত কম হবে। n এর মান যত বেশি হবে লিংক এর Load ও তত বেশি হবে। Load এর এই মানটি ইন্টারফেসের ট্রাফিকের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে প্রতি পাঁচ মিনিট পর পর আপডেট হয়ে থাকে।

    Delay: সাধারণভাবে Delay বলতে কোন একটি নেটওয়ার্ক থেকে অন্য একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কে প্যাকেট পৌছাতে যে সময় লাগে তা বোঝায়। কিন্তু EIGRP রাউট ক্যালকুলেশনের সময় এই ভ্যালুটি ভিন্ন অর্থ বহন করে। এখানে Delay হলো একটি স্ট্যাটিক ভ্যালু যা ইন্টারফেসের ধরণের উপর নির্ভর করে। এটি মাইক্রো সেকেন্ডে (usec) প্রকাশ করা হয়। এটি Serial এর জন্য 10 microsecend, FastEthernet Bandwidth 100 microsecend, Ethernet এর জন্য 1000 microsecend.

    Reliability: এটি একটি ডায়নামিক ভ্যালু যা 0 থেকে শুরু করে 255 পর্যন্ত হয়ে থাকে। Reliability ক্যালকুলেশনের জন্য ডায়নামিকভাবে পাওয়া ভ্যালুটিকে 255 দ্বারা ভাগ করা হয়। সুতরাং Reliability = n/255 (এখানে, n এর মান 0 থেকে শুরু করে 255 পর্যন্ত যেকোন একটি সংখ্যা) । n এর মান যত কম হবে লিংক তত Unreliable হবে, n এর মান যত বেশি হকে লিংক তত Reliable হবে।

    MTU: MTU হলো Maximum Transfer Unit ।

    Metric ক্যালকুলেশনের সময় উপরিউক্ত ভ্যালুসমূহকে K দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

    K1 (Bandwidth) = 1
    K2 (Load) = 0
    K3 (Delay) = 1
    K4 (Reliability) = 0
    K5 (Reliability) = 0 (Reliability দুই বার গননা করা হয়।)

    আমরা আগেই বলেছি, EIGRP Metric ক্যালকুলেশনের সময় বাই ডিফল্ট শুধুমাত্র Bandwidth ও Delay এই দুটি মান ব্যবহৃত হয় তাই এদের K ভ্যালু 1, বাকি সকগুলোর 0 । Complete Formula:

    Metric = [K1*Bandwidth + (K2*Bandwidth)/ (256-Load) + K3*Delay] * [K5/(Reliability+K4)]

    EIGRP বাই ডিফল্ট Metric ক্যালকুলেশ করার সময় সধারণত Bandwidth ও Delay এই দুটি মান ব্যবহৃত করে থাকে। Bandwidth ও Delay এই দুটি মান ব্যবহৃত করে Metric Calculation করার যে সুত্রটি রয়েছে তা হল

                    Metric= [(107/Least-bandwidth) +Cumulative Delay]*256

    Diffusing Update Algorithm (DUAL): এবার আমরা EIGRP এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যদিও প্রত্যেকটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ । অন্যান্য Distance Vector রাউটিং প্রটোকলসমূহ রাউটিং এ্যালগরিদম হিসেবে Bellman-Ford অথবা Fulkerson এ্যালগরিদম ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু EIGRP তার রাউটিং এ্যালগরিদম হিসেবে DUAL ব্যবহার করে। DUAL এর পূর্ণরূপ হলো Diffusing Update Algorithm । DUAL হলো EIGRP এর কম্পিউটেশনাল ইঞ্জিনের হার্ট (Heart) স্বরূপ যা রাউট ক্যালকুলেশন করে Best Loop Free পাথ এবং Best Backup পাথ নির্ণয় করার কাজ করে। DUAL তার Finite State Machine (FSM) এর মাধ্যমে সমগ্র ক্যালকুলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

    এখন আমরা DUAL এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Terminology সম্পর্কে জানবো। এই অংশ অনেকের কাছে একটু ঝামেলার মনে হতে পারে। কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় বুঝলে ততটা কঠিন লাগবে না।
    1. Feasible Distance (FD)
    2. Advertised Distance (AD)
    3. Successor (S)
    4. Feasible Successor (FS)

    Feasible Distance (FD): যে মেট্রিকটি আমাদের Best মেট্রিক হচ্ছে কোন সাবনেটে পেীছানোর জন্য সেটিই হলে Feasible Distance। কোন সাবনেটে পেীছানোর জন্য যদি অনেকগুলি রুট থাকে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম মেট্রিক এর যে রুটটি থাকে সেটিই হবে Feasible Distance.

    Advertised Distance (AD): Advertised Distance হল এমন একটি মেট্রিক যা কোন রাউটারের কাছে তার নেবার  রাউটার Advertised করে তার ডেসটিনেশনে পেীছানোর জন্য । কোন রাউটার তার কাঙ্খিত সাবনেটে পেীছানোর জন্য নেবার তার কাছে যে মেট্রিকটি Advertised করে তাকে বলা হয়  Advertised Distance বা Reported Distance.

    আমরা উপরের চিত্রের দিকে খেয়াল করি, এখানে মোট ৫টি রাউটার রয়েছে যথা: Router A, B, C, D, E। মনে করি Router E Router A তে যেতে চায়, তাহলে তার কাছে মোট ৩টি রুট আছে  এবং এই প্রত্যেকটি রুট এর মেট্রিক আলাাদা আলাদা । যদি Router E, Router B হয়ে Router A তে যেতে চায় তাহলে তার মেট্রিক হবে 20+10=30। আর যদি Router C হয়ে যায় তাহলে তার মেট্রিক হবে 10+10=20 এবং যদি Router D হয়ে যায় তাহলে তার মেট্রিক হবে 20+25=45। তাহলে এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি Router E Router A পেীছানোর জন্য সবচেয়ে কম মেট্রিক হচ্ছে Router C হয়ে Router A তে পেীছানো । কারণ এই দিকে সে সবচেয়ে কম মেট্রিক পাবে । সুতরাং Router E এর কাছে  Router A এর কাছে পেীছানোর জন্যে তার Feasible Distance (FD) হবে 20। একই সাথে Router E এর কাছে Reported Distance (FD) হবে 10। করণ এখানে নেবার হিসেবে Router C Router E এর কাছে Router A তে পেীছানোর জন্যে মেট্রিক 10 Advertised করে । আমরা জানি যে কোন সাবনেটে পেীছানোর জন্যে নেবার যে মেট্রিক Advertised করে সেটিই হল Reported Distance (FD) বা Advertised Distance (AD)।

    EIGRP Successor: EIGRP Successor হল কোন সাবনেটে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে Best Metric টি সে নেবার এর মাধ্যমে পাওয়া যায় সেই নেবার কে বলা হয় EIGRP Successor। অর্থাৎ কোন নেটওয়ার্কে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল Neighbour রাউটারই হল Successor।

    আমরা যদি আবারও উপরের এই টপোলজির দিকে খেয়াল করি। এখানে আমরা দেখেছিলাম Router E, Router A তে পেীছানোর জন্য সবচেছে ভাল রুট ছিল Router C এর মাধ্যমে। সুতরাং Router C হল এখানে Successor।

    Feasible Successor:EIGRP এর ক্ষেত্রে আমরা জানি যে, একটি Best Metric এর রুট তার রাউটিং টেবিলে রাখার পাশাপাশি একটি বাকআপ রুটও রেখে দেয় যা অন্য কোন রাউটিং প্রোটকল এই কাজ করে না । এটি EIGRP এর একটি স্পেশাল বৈশিষ্ট। সহজ ভাবে বলতে গেলে এই ব্যাকআপ রুটটি আমরা যে নেবার এর মাধ্যমে পাচ্ছি সেই নেবারকেই বলা হয় Feasible Successor। কোন সাবনেটে যাওয়ার জন্য ব্যাকআপ Neighbor রাউটারকেই বলা হয় Feasible Successor।

    আমরা যদি উপরের চিত্রের দিকে খেয়াল করি, তাহলে এখানে Feasible Successor কে হবে? খুব সহজ, এখানে Router E থেকে Router A পেীছানোর জন্য Router E এর কাছে মোট ৩টি মেট্রিক আছে।
    • Going through the router B — Metric=30
    • Going through the router C — Metric=20
    • Going through the router D — Metric=45

    এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি Router E এর কাছে সবচেয়ে কম মেট্রিক হচ্ছে 20 যা সে Router C এর মাধ্যমে পাচ্ছে । সুতরাং এখানে Router C হচ্ছে Successor এবং এর পর সবচেয়ে কম মেট্রিক রয়েছে 30 যা ব্যাকআপ রুট হিসেবে Router E তার রাউটিং টেবিলে রেখে দিবে । যেহেতু এই ব্যাকআপ রুটটি Router E পাচ্ছে Router B এর মাধ্যমে সুতরাং Router B হবে এখানে Feasible Successor। তবে Feasible Successor হওয়ার জন্য কিছু কনডিশন আছে এই কনডিশনটি হল -
    • যে রাউটারের Reported Distance, Feasible Distance এর চেয়ে কম হবে সেই হবে Feasible Successor
    উপরের টপোলজিতে আমাদের Feasible Distance হল 20। আর আমরা এই Feasible Distance Router C এর মাধ্যমে পাচ্ছি। তাহলে আর বকি আছে দুইটি রাউটার Router B এবং Router D। এই দুটি রাউটারে এর Reported Distance যথাক্রমে 10 ও 25। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি Router D এর Reported Distance 25 যা Router E এর Feasible Distance এর চেয়ে বেশি তাই এটি Feasible Successor হতে পারবে না । অন্য দিকে Router B এর Reported Distance 10 যা Router E এর Feasible Distance এর চেয়ে কম তাই এই Rouer B হবে Feasible Successor।

    Query and Reply Process: Query এবং Reply process টা কি হচ্ছে? ধরে নিই আমাদের রাউটিং টেবিলে যে রুটটি ছিল তা কোন কারণে ফেইল হয়ে গেছে। এখন আমাদের কাছে কোন ব্যাকআপ রুটও নেই । তখন EIGRP DUALঅ্যালগরিদম ব্যবহার করে একটি Query জেনারেট করবে যে ঐ সাবনেটে যাওয়ার জন্য আর কোন রুট আছে কিনা? যদি কোন রাউটারের কাছে কোন ‍রুট থাকে তাহলে তারা একটি Reply পাঠাবে আর না থাকলেও একটি Reply পাঠাবে। এই প্রসেসটিকে বলা হয় Query and Reply Process. EIGRP এর ফিচারগুলি নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হল।


    আপনাদের এই পোষ্টটি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

    1 comment:

    1. EIGRP সম্পর্কে অসাধারন একটি পোষ্ট অনেক কষ্ট করে তৈরি করেছেন ভাই। খুব উপকৃত হলাম। keep it.

      ReplyDelete

    Fashion

    Beauty

    Travel